মূলঃ ওশেন ভং (উপন্যাস- অন আর্থ উই আর ব্রিফলি গর্জিয়াস)
ছবিঃ অন্তর্জাল, প্রতীকী
‘‘আবার আমি সৌন্দর্য নিয়ে ভাবছি। ভাবছি কীভাবে আমরা কোনোকিছুকে গর্জিয়াস বা চিত্তাকর্ষক হিসেবে অনুধাবন করে থাকি।
পৃথিবীর ইতিহাসের সাপেক্ষে যদি কোনো ব্যক্তির জীবন চোখের পলকের মতো সংক্ষিপ্ত হয়ে থাকে, যেমনটা তারা বলে থাকে, তাহলে যে-দিন তুমি জন্মগ্রহণ করেছ, সেদিন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময়ের জন্যে তোমার গর্জিয়াস হিসেবে প্রতিভাত হবার সময়টিও খুবই সংক্ষিপ্ত।
এই যেমন, এই মুহূর্তে গাছপালার পেছনে সূর্য ডুবে যাচ্ছে, কিন্তু আমার পক্ষে সুর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মধ্যকার আসল পার্থক্য কোথায় তা বলা সম্ভব হচ্ছে না। বরং ক্রমশ লাল হতে থাকা পৃথিবীকে আমার কাছে একইরকম মনে হচ্ছে এবং আমি পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যকার পার্থক্য হারিয়ে ফেলছি।
কারণ, সূর্যাস্তও বেঁচে থাকার মতো অস্তিত্বশীল থাকে কেবলমাত্র নিজের ডুবে যাওয়ার প্রান্তসীমায়। একইভাবে গর্জিয়াস হিসেবে প্রতিভাত হবার জন্যে তোমাকে প্রথমে দৃশ্যমান হবে, এবং এই দৃশ্যমানতাই অন্যদের নিকট তোমাকে অনুভব করার অবকাশ সৃষ্টি করবে।’’
সূএ : ডেইলি-বাংলাদেশ